বাংলাদেশ থেকে এক বাংলাদেশী মেয়ে নিজ অস্বচ্ছল পরিবারের অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, তার কুয়েত প্রবাসী ভাই কুয়েতের এক গৃহকর্তা কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার।
এমনকি ভাইটি তার চরম বিপদগ্রস্ত, আকামা-ভিসা জটিলতা নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলেও জানান সেই মেয়েটি।
আমার প্রতি জনৈক মেয়েটির আবেদন, নিবেদন আর অনুরোধ তার ভাইটির সমস্যা সমাধানে যেনো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
পরোপকারী মনোভাব থাকলেও অনেক উপকারই করা সম্ভব হয়ে উঠেনা পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন কারণে।
তবে সেদিন জনৈক মেয়েটির আকুল আবেদন আর ব্যাকুলতা দেখে আমি তাকে আশ্বস্ত করতে বাধ্য হলাম, তার বিপদগ্রস্ত ভাইয়ের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনে দূতাবাসের সহযোগিতা নেবো।
এজন্য মেয়েটিকে তার কুয়েত প্রবাসী ভাইয়ের পাসপোর্ট এর ছবি পাঠানোর কথা জানিয়ে দিলাম।
১/২ মিনিটের মধ্যেই ইমোতে চলে এলো কুয়েত প্রবাসী মোহাম্মদ আবুল বাশার নামে প্রবাসীর পাসপোর্টের ছবি ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের ছবি।
ইমোতে মেয়েটিকে ধন্যবাদ জানিয়েই শেষ করলাম এ বিষয় নিয়ে কথোপকথন।
এদিকে জনৈক মেয়েটির সাথে কথোপকথনের ২/৩ ঘণ্টা পর ইমোতে ফের অপরিচিত কলারের রিং বাজছে দেখে প্রথমে এড়িয়ে গেলাম।
পরক্ষণে আবারো রিং বাজছে দেখে এবার কলারের নামটির দিকে দৃষ্টি দিতেই দেখলাম এটি বাশার নামে একজন কলার ফোন করছেন,ফোন ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে এক যুবক বলছেন আপনি কী সাংবাদিক আ হ জুবেদ।
জবাব, হ্যা আমি আ হ জুবেদ।
যুবক বলছেন, ভাই আপনি আমার একটি নিউজ করতে হবে।
জানতে চাইলাম, জ্বি বলুন কী সমস্যা?
যুবক বলছেন, ভাই আমার এক বন্ধু দেশে বিয়ে করে কুয়েতে এসেছিল, বেশ কিছুদিন আগে তার স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, কিন্তু এখন এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে অস্বাভাবিক বলে আমার কুয়েত প্রবাসী বন্ধুর বাবা-ভাইকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বন্ধুর মরহুমা স্ত্রীর পরিবার।
একদিকে যুবকের কথাবার্তায় গড়মিল, অন্যদিকে ২/৩ ঘণ্টা আগে এই বাশার নামের ছেলের বোন পরিচয়ে সেই মেয়ের ভাষ্য ”ভাইয়ের সমস্যা” পরিস্থিতি আর প্রেক্ষাপট দেখে সহজেই অনুমেয় হয়েছে যে, এটি নিশ্চয় কোনো সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।
এরা অজানা কোনো প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে তৎপর।
আ হ জুবেদ